মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০৮ পূর্বাহ্ন

জেরুসালেমে সুইডিশ দূতাবাসের সামনে আল-আকসার খতিবের প্রতিবাদী অবস্থান

জেরুসালেমে সুইডিশ দূতাবাসের সামনে আল-আকসার খতিবের প্রতিবাদী অবস্থান

স্বদেশ ডেস্ক:

সুইডেনে সর্বশেষ গত ২০ জুলাই পবিত্র কোরআনের অবমাননা হয়েছে। মুসলিমদের হৃদয়ের সেই রক্তক্ষরণ শেষ হওয়ার আগেই ফের কোরআনের ওপর আক্রমণ হলো ডেনমার্কে। সোমবার ইসলামবিরোধী এবং উগ্র জাতীয়তাবাদের জন্য পরিচিত প্রান্তিক একটি দল ‘ড্যানিশ প্যাট্রিয়টস’র দুই সদস্য দুই কপি কোরআনে অগ্নিসংযোগ করেছে। এরই প্রতিবাদে বিশ্ব মুসলিম বিশ্বের সাথে সংহতি জানিয়ে রাস্তায় নেমে এসেছেন ফিলিস্তিনের মসজিদুল আকসার খতিব শায়খ ইকরামা সাবরিসহ জেরুসালেমের শীর্ষ মুসলিম নেতৃবৃন্দ। তারা জেরুসালেমে অবস্থিত সুইডিশ কনস্যুলেট জেনারেলের সামনে অবস্থান নিয়ে এ প্রতিবাদ জানান।

মঙ্গলবার ইয়েনিশাফাক বিষয়টি নিশ্চিত করে। তুর্কি সংবাদমাধ্যমটি জানায়, সুইডেন ও ডেনমার্কে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের শীর্ষ আলেমরা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (২৪ জুলাই) সুইডিশ কনসাল জেনারেল জুলিয়াস লিলেস্ট্রমকে বিশেষ চিঠি দিয়েছে জেরুসালেমভিত্তিক সংস্থা ইসলামিক সুপ্রিম কমিটি।

সুইডিশ কনস্যুলেট জেনারেলের সামনে অবস্থান নেয়ার সময় শায়খ ইকরামা সাবরি ও অন্যান্যরা সেখানে উঁচু স্বরে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন। এ সময় শায়খ বলেন, মহান আল্লাহর পবিত্র গ্রন্থের সম্মানার্থে আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি। এই কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে আমরা এ কথা জানাচ্ছি, পবিত্র কোরআন আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ সম্মানিত গ্রন্থ। মুসলিমরা মহান আল্লাহর নির্দেশনা অনুসরণ করেন এবং নিজ জীবনে পবিত্র কোরআনের বিধি-নিষেধ পালন করেন। সম্মানিত এই গ্রন্থ পুড়িয়ে ফেলাকে আইনিভাবে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বলে আখ্যায়িত করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

তিনি আরো বলেন, আমরা এ ঘৃণ্য কাজকে মুসলিমদের অনুভূতিতে আঘাত ও তাদের বিরুদ্ধে ধর্মীয় সঙ্ঘাত তৈরি বলে মনে করি। তাই আমরা শুধু এই ঘৃণ্য কাজে সম্পৃক্ত সেই ব্যক্তির নিন্দা জানাচ্ছি না; বরং সুইডেন সরকারেরও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। তাছাড়া এ ঘৃণ্য কাজের পুনরাবৃত্তি প্রমাণ করে যে আরব ও মুসলিম বিশ্ব তাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণে ব্যর্থ হচ্ছে।

জেরুজালেমভিত্তিক সংস্থা ইসলামিক সুপ্রিম কমিটির পক্ষ থেকে সুইডিশ কনসাল জেনারেল জুলিয়াস লিলেস্ট্রমকে দেয়া চিঠিতে বলা হয়, ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বলতে শুধু ধর্মীয় গ্রন্থগুলোর অবমাননা বোঝায় না। এসব ক্ষেত্রে সীমারেখা চিহ্নিত করা উচিত। আমরা সুইডিশ সরকারকে ইসলামবিরোধী বিদ্বেষমূলক আচরণ বন্ধ করতে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

গত ২০ জুলাই দ্বিতীয়বারের মতো সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে কোরআন পুড়িয়ে দেয় সুইডেনে বসবাসরত এক ইরাকি শরণার্থী। এরপর গত ২৪ জুলাই কোপেনহেগেনে ইরাকি দূতাবাসের সামনে কোরআন পোড়ায় ‘ড্যানিশ প্যাট্রিয়টস’ নামে কট্টর ডানপন্থী দলের দুই সদস্য। স্টকহোমে ও কোপেনহেগেনে পরিকল্পিতভাবে একের পর এক কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় বিশ্বজুড়ে মুসলিমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।

তথ্যসূত্র : আলজাজিরা, ইয়েনিশাফাক ও অন্যান্য

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877